সাতক্ষীরার বালিথায় শিশু ইয়াসমিন ধ/র্ষ/ন: থানায় মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের ৬ বছর বয়সী এক শিশুকে হাত পা বেধে ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারী) চরম আহত অবস্থায় শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পিতা-মাতা। ধর্ষনকারী ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের আনার উদ্দীন সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ সরদার (২৬)। সম্পর্কে শিশুটির প্রতিবেশী চাচা হন আব্দুল্লাহ। এছাড়া আব্দুল্লাহ পাশের ধুলিহর গ্রামের বালিগাছা মসজিদের ইমাম।
ধর্ষনের শিকার ইয়াসমিনের নানি ও এলাকাবাসী জানান রবিবার বেলা ১২ টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ী আসার পর ভাত খেয়ে পার্শবর্তী বাড়ীর উঠানে যায় ইয়াসমিন তখন ঐ বাড়ীতে কেউ ছিলনা। আমার বৌমাও পানি আনতে যায় পাশে। এই সুযোগে আব্দুল্লাহ প্রথম শ্রেনীতে পড়ুয়া ইয়াসমিনকে ঘরের মধ্যে নিয়ে হাত পা বেধে মুখ চেপে ধর্ষন করে।
এরমধ্যে ইয়াসমিনের মা মেয়েকে না পেয়ে খোজ নিতে আব্দুল্লাহর ঘরে যেয়ে দেখে মেয়ে মরার মত অবস্থা। তখন দৌড়ে আব্দুল্লাহ পালিয়ে যায়। এরপর আমরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং রাতে সাতক্ষীরা থানায় মামলা করি।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিশুর মা বলেন, স্কুল থেকে ফেরার পর আমার মেয়ে পাশের বাড়ির আব্দুল্লাহদের বাড়িতে খেলতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আব্দুল্লাহ তাকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ঘরের ভেতর ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার মেয়ের মুখ ও পা বেঁধে ধর্ষণ করে। দীর্ঘক্ষণ মেয়েকে না পেয়ে মেয়েকে খুঁজতে আমি আব্দুল্লাহদের বাড়িতে যাই। এরপর দরজা খুলতেই মেয়ের মুখ ও পা বাধা এবং বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পাই। আব্দুল্লাহকেও বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পাই। তখন আব্দুল্লাহ খাটের উপর থেকে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরে বলে ‘আমাকে মাফ করে দাও ভাবি’। তখন আমি চিৎকার দিলে পাশের এক জা ছুটে আসে। তখন আমি একটু সাহস পাই। কিন্তু বিষয়টি আবদুল্লার বাবা-মাকে জানালে তারা আমাকে হুমকি দেয়। বিকালে আমার স্বামী বাড়িতে আসলে স্থানীয়দের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করি এবং মেয়েকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ সামিনুল হক বলেন আসামীকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এজন্য আমাদের ৩/৪ টি টিম কাজ করছে। আশাকরি দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। আসামীর নামে মামলা হয়েছে। মামলা নং ৪৪। তারিখ ২৭/০১/২৫।