কলারোয়াতালা

কলারোয়ার কুশোডাঙ্গায় ইসলামী যুব সমাবেশে

‎এস এম ফারুক হোসেন, কলারোয়া: কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা জামায়াতে ইসলামী যুব বিভাগের আয়োজনে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে কুশোডাঙ্গা বাজার চত্বরে ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক সাইফুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে এ যুব সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ। তিনি বলেন, সন্ত্রাস, দুঃশাসন ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সৎ লোকের শাসনের বিকল্প নেই। কুশোডাঙ্গা জামায়াতে ইসলামী যুব বিভাগের আয়োজনে যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। ‎

‎এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক ইউ.পি চেয়ারম্যান মাওলানা কামারুজ্জামান, সাবেক আমীর মাওলানা ওমর আলী, নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আশফাকুর রহমান বিপু, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি শামসুল আলম বুলবুল, ৫নং কেড়াগাছি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ফিরোজ হোসাইন আজাদী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুল লতিফ, জামায়াত নেতা মৌলভী আবুল কাশেম, আব্দুল আজিজ, মাওলানা হাফিজুর রহমান আজাদী, তামজিদ হোসেন, আনারুল ইসলাম, চাষী আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

‎প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুব সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। রাষ্ট্র সংস্কার ও বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যুব সমাজ তাই তাদের সঠিক পথে চলার দিক নির্দেশনা দেন। মাদকের থাবা হতে যুবকদের রক্ষা করতে তিনি সকলকে আহ্বান জানান। যুব সমাজকে অন্যায় অপরাধ থেকে বাঁচতে সালাত আদায় করার তাগিদ দেন ও দ্বীন ইসলামের পথে চলার দিক নির্দেশনা বক্তব্যে তুলে ধরেন। এছাড়াও ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়, ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

‎ উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, আগামীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫৫ বছর যাবত জামায়াত ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারীদের কাছে লাঞ্ছিত হয়েছে খোলা মাঠে কথা বলার অধিকার টুকু হারিয়ে ফেলেছিল। জুলাই আগস্টের আন্দোলনে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ স্বাধীন হয়ে কথা বলার অধিকার পেয়েছে। এ অধিকার ধরে রাখতে যদি রক্ত দিতে হয় আমরা প্রস্তুত আছি তবুও স্বৈরাচারের হাতে এদেশ আর ভূলুণ্ঠিত হতে দেব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *