পাইকগাছায় লীজকৃত মৎস্য ঘেরের জমিতে জোর পূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ
খোরশেদ আলম,পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছার জামাই পাড়ার ৪ ব্যক্তি শ্যামাপদ গংদের পৈত্রিক সম্পত্তির মৎস্য লীজ ঘেরের জমিতে জোর পূর্বক ঘর বাড়ি নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শ্যামাপদ ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের মৃত বৈদ্যনাথ মন্ডলের সোলাদানা ইউনিয়নের কাঁকড়াবুনিয়া মৌজায় ২১ খতিয়ানে ৪.৮২ একর জমি রয়েছে। যার দাগ নং ৩। এ সম্পত্তিতে বৈদ্যনাথ মন্ডলের ৩ ছেলে শ্যামাপদ মন্ডল, রামপদ মন্ডল ও কৃষ্ণপদ মন্ডল দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণ ভাবে মৎস্য লীজ ঘের ও ধান চাষ করে আসছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে লীজ ঘের সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার বেড়িবাঁধের উপর বসবাসকারী জামাই পাড়ার নাসির, শাহিনুর, খালিদ ও মাসুম নামের ৪ ব্যক্তি শ্যামাপদ গংদের পৈত্রিক সম্পত্তির মৎস্য লীজ ঘেরের জমিতে জোর পূর্বক ঘর বাড়ি নির্মাণ করার চেষ্টা করে। বিষয় টি জানতে পেরে শ্যামাপদ মন্ডল ওইদিনেই ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন কারোর পৈত্রিক ভোগদখলীয় রেকর্ডীয় জমির উপর অবৈধভাবে ঘর বাড়ি নির্মাণ করা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এ কাজ করেছে আমি তাদের সবাই কে ঘরের মালামাল সরে আসার জন্য বলেছি। শাহিনুর রহমানের স্ত্রী আসমা বেগম বলেন ওয়াপদার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের জন্য ওয়াপদা কতৃপক্ষ আমদের ওয়াপদা ছেড়ে দিতে বলেছে। এজন্য তাৎক্ষণিকভাবে ওখানে ঘর তৈরি করছিলাম। বাঁধা আসার কারণে আমারা ওখান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উল্লেখ্য কারোর রেকর্ডীয় জমির উপর ঘর নির্মাণ না করার জন্য দলীয় ভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে সকলকে অবহিত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শ্যামাপদ মন্ডল বলেন জামাই পাড়ার ৪ ব্যক্তি বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের মৎস্য লীজ ঘেরের জমিতে জোর পূর্বক ঘর তৈরি করতে থাকতে থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। ঘেরের জমিতে ঘর বাঁধার সরঞ্জাম রাখার ফলে লীজ ঘেরের কাজ ব্যহত হচ্ছে। আমরা চাই সবাই আমাদের জমি থেকে দ্রুত চলে যাক।
ওসি সবজেল হোসেন জানান কারোর রেকর্ডীয় জমির উপর ঘর নির্মাণ করার কোন সুযোগ নাই। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং এব্যাপারে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।