ইতিহাস ঐতিহ্যশ্যামনগর

হরিণ শিকার রোধ কল্পে সচেতনতা বিষয়ক আলোচনা সভা

মোঃ ইসমাইল হোসেন, শ্যামনগর: শ্যামনগর হরিণ শিকার রোধ কল্পে সচেতনতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন ও কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনের ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জি এম ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলায়মানের সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল, সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম। সার্জেন্ট আল মামুন, কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা একে এম আব্দুস সুলতান, চুনকুড়ির টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বজল মজুমদার, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলাল হোসেন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (প্যানেল চেয়ারম্যান ২) আব্দুল জলিল, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জামায়াতের আমির আবুল হোসেন, সাবেক আমির আব্দুল রাজ্জাক, টাইগার টিমের সঞ্জিত কুমার মন্ডল, বিএনপি নেতা আমির হামজা, সাবেক মেম্বার ফজলু সহ স্থানীয় জেলে বাওয়ালি প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মায়ের মতো সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে সুন্দরবনের বাঘ ও হরিণ শিকার বন্ধ করতে হবে, বন বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকা জনগণকে বন বিভাগকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। তথ্যদাতাকে পুরস্কৃত করা হবে, সুন্দরবনের ভিত থেকে হরিণ শিকারিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ হাজার টাকা এবং লোকালয় থেকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে এবং তথ্যদাতার পরিচয় গোপন থাকবে। হরিণ শিকারের ফলে সুন্দরবনে যেমন হরিণ কমে যাবে তেমনি খাবারের অভাবে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করবে। আমাদের সকলের উচিৎ হরিণ শিকার না করা। হরিণ শিকারীদের কঠিন আইনের আওয়তায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। এবং আমাদের সকলের উচিৎ হরিণের মাংস ক্রয় না করা। হরিণের মাংস ক্রয় না করলে চোরা শিকারীরা হরিণ মারা বন্ধ করে দেবে। কারণ বেচতে না পারলে হরিণ মেরে কি করবে। সকলের উচিৎ কাউকে হরিণ শিকার করতে দেখলে সাথে সাথে প্রশাসনকে জানানো। এছাড়াও সুন্দরবনে যখন বনদস্যু ছিলো না তখন বাঘের সংখ্যা বেড়েছিলো কিন্তু ৫ই আগস্টের পর থেকে সুন্দরবনে নতুন করে বনদস্যু প্রবেশ করায় বাঘের সংখ্যা আবার ও কমে যাবে বলে মনে হচ্ছে। সুন্দরবন থেকে বনদস্যু মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *