অপরাধশিক্ষাঙ্গনসদরসাতক্ষীরা জেলা

সরকারি রাস্তার গাছ এবং প্রাইমারী স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

নাজমুল আলম মুুন্না: ক্ষমতার অপব্যবহার করে গোপনে গ্রামীণ রাস্তার পাশের গাছ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ইউনিয়নের বাউকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির দাতা সদস্য বাউকোলা গ্রামের রমজান সরদারের ছেলে আব্দুল আলীম (কাঠ মিস্ত্রী) ও প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে আব্দুল আলীম কুশখালী ইউনিয়নের বাউকোলা গ্রামের পশ্চিম মাঠের রাস্তার ৯ টি গাছ কেটে নিয়ে ফার্নিচার তৈরি করে বিক্রি করেছেন এছাড়া বাউকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিরিশ গাছের বড় বড় ডাল কেটে নিয়েছেন অথচ প্রশাসনের কোন ভূমিকা চোখে পড়ছেনা।

অভিযোগ পেয়ে এ বিষয়ে সরেজমিনে তদারকিতে যান কুশখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মহাসিন তিনি বলেন আমি উপরের নির্দেশনা মোতাবেক তদন্ত করে সদর এ্যাসিল্যান্ড স্যারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত কাঠ মিস্ত্রী আব্দুল আলিম বলেন রাস্তার পাশের মরাগাছ অনেকেই কেটে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমি এবিষয়ে কিছু জানিনা। তবে বৈকারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ সাহেব আমাকে ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে দিয়েছেন।

বাউকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিরিশ গাছ কেন কাটা হয়েছে প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন এটিতো মিটে গেছে। কারা মিটিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যারা অভিযোগ দিছিলো এবং এলাকাবাসী মিলে মিটিয়ে ফেলেছে। এই গাছ কাটার মূল মাস্টার মাইন্ড কে ছিল প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন স্কুল বন্ধ থাকাকালিন স্কুলের এ্যাডহক কমিটির দাতা সদস্য আব্দুল আলিম গাছ কেটে নিয়ে একটি রাস্তা সংস্কার করেছেন এতে অসুবিধা কোথায় এটাতো উন্নয়নমূলক কাজ।

এই গাছ কাটার বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত এবং রেজুলেশন করেছেন কিনা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন উপর মহলের কাউকেই জানানো হয়নি। তবে তিনি বলেন ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর স্কুল বন্ধ থাকাকালিন আব্দুল আলিম সাহেবের নেতৃত্বে এলাকাবাসী এই গাছ কাটার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। স্কুল পরিচালনাতো আপনার দায়িত্ব সেক্ষেত্রে গাছ কাটা হোক বা স্কুলের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করতে হলে রেজুলেশনের উল্লেখ করে কমিটির সীদ্ধান্তে করতে হয় প্রশ্নে তিনি বলেন আসলে আব্দুল আলিমসহ কয়েকজন মৌখিকভাবে আমার সাথে আলোচনা করেছিল গাছ কাটার বিষয়ে কিন্তু গাছ কাটার সময় আমি ছিলাম না।

আপনি কি এখন স্কুলে আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শিশু জরিপের কাজে বাইরে আছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতেছ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃস্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ বলেন আমি অভিযোগ পেয়ে তদন্তে পাঠিয়েছি তদন্ত রিপোর্ট আসলেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *