পাটকেলঘাটার প্রজনন কেন্দ্রটি পরিত্যক্ত: হুমকিতে প্রাণি সম্পদ
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটার ঐতিহ্যবাহী সরকারি প্রাণি প্রজনন কেন্দ্রটি অযত্নে অবহেলায় দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
আর অবহেলায় অত্র এলাকায় গরুর সংখ্যা হ্রাসে জীবের বংশ বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি প্রজনন কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করা হোক।
সূত্র জানায়, ১৯৯৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামী দলীয় এমপি এ্যাড আনসার আলী এলাকার প্রাণি সম্পদ উন্নয়নের কথা চিন্তা করে ৫ শতক জমির ওপর পাটকেলঘাটা সরকারী প্রানি প্রজনন কেন্দ্রটি নির্মাণ করেন। এখানে স্থানীয় ও প্রাণি উন্নয়নের জন্য একজন প্রাণি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি গবাদি পশুর বিভিন্ন রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং কৃত্রিম প্রজননের কাজ করতেন।
প্রজনন কেন্দ্রটির ভবনের বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টার খসে পড়েছে। দরজা-জানালা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ছাদ দিয়ে পানি পড়ায় সে সময় পশু চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ৬ বছর আগে থেকেই পশু চিকিৎসার অবস্থা পতিত রয়েছে। কৃত্রিম প্রজননের ব্যবসার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দুটি ২০১৮ সালে এখানে চিকিৎসক হিসেবে আবুল খায়েরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিন বছর যাবৎ প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা অনুপস্থিতি কর্মরত রয়েছেন।
গরুর খামারি কাশিপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম ,পানিবিষয়ক নজরুল ইসলাম ও মুরগির খামারি বাবু সরদার জানান, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের কারণে তাদের পশু-পাখি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে খামার করছি। কিন্তু নানা রোগবালাইয়ের কারনে অনেক সময় লোকসান হয়ে যায়। সব সমস্যা সমাধানের জন্য পাটকেলঘাটা প্রজনন কেন্দ্রটি চালু করা এবং আমাদের সময়ের প্রধান দাবি।
চিকিৎসক আবুল খায়ের বলেন, এলাকার মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি পশু-পাখি পালন করছেন। অনেকে খামারের দিকে ঝুঁকেছেন। রোগবালাইয়ের বৃদ্ধি ও প্রতিকার না পাওয়ায় অনেকই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেই। এছাড়া এখানকার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাবে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শেখ রাসেল বলেন, পাটকেলঘাটার প্রাণি প্রজনন কেন্দ্রটি দেশের অন্যতম কেন্দ্র। বিষয়টি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি।