চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বিএনপি নেতাকে পেটালেন যুবদল নেতা
স্টাফ রিপোর্টার: দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় শ্যামনগরে বিএনপির এক নেতাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার মাইক্রোস্ট্যান্ডে ।
এ ব্যাপারে শনিবার (৩০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা।
ভুক্তভোগী হামিদুল কবির বাবু শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অভিযুক্ত শেখ নাজমুল হক শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
ভুক্তভোগী কাশিমাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদুল কবির বাবু জানান, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের দোসর ও তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা মামলার শিকার হয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছেন হামিদুল কবির বাবু। এরই মধ্যে এলাকার কিছু সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যে সম্পৃক্ত হয়ে এবং নিজ ফ্রেন্ডশিপ (সুপেয় পানির প্লান্ট) এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে এলাকার মানুষের জন্য সর্ব নিম্ন সাশ্রয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করছেন তিনি। সম্প্রতি শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ নাজমুল হক তার কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা চায়।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে যুবদল নেতা নাজমুল হক বিএনপি নেতা হামিদুল কবির বাবুকে ফোন করে শ্যামনগর সদরে মাইক্রো স্ট্যান্ডের হোসেন আলির চায়ের দোকানে ডাকে। সেখানে প্রথমে হামিদুল কবির বাবুর কাছে দল এবং পোলাপান চালানোর কথা বলে পূর্ব দাবি করা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন শেখ নাজমুল হক। হামিদুল কবির চাঁদার টাকা দিতে অসম্মতি জানালে শেখ নাজমুল হক বাবুকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে এবং মারতে মারতে বলে শ্যামনগর উঠলে টাকা নিয়ে উঠতে হবে।
তিনি বলেন, আমি নিজেকে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেওয়ার পরেও নাজমুলের সঙ্গে থাকা শেখ আলমসহ ১০-১৫ জন বাবুকে উপর্যুপরি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে মারতে থাকে। পরবর্তীতে হামিদুল কবিরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অভিযুক্ত শেখ হামিদুল কবির বাবু জানান, তার সঙ্গে ওয়াটার প্লান্ট নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ চলছিল। এ বিষয়টি জানা বোঝার জন্য হামিদুল কবির বাবুকে সেদিন ডাকা হয়। তবে সেখানে কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। একইসঙ্গে চাঁদা দাবি করা হয়নি বলেও তিনি জানান।
শ্যামনগর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম দুলু জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি তবে আমি দীর্ঘ ৭ দিন অসুস্থ থাকার কারণে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা খবর নিতে পারিনি।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানান, গত ২৮ নভেম্বর শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির নেতা হামিদুল কবির বাবুর মারপিটের বিষয়টি জেনেছি। ঘটনা সত্য। ঘটনার দিন রাতে বাবু আমার কাছে এসে মারপিটের বিষয়টি বলেন। তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, লোক মারফতে জেনেছি স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে বিএনপি নেতা হামিদুল কবির বাবুর ওয়াটার প্লান্ট সংশ্লিষ্ট একটি জটিলতা রয়েছে। সেখানে তৃতীয় পক্ষের কথা মতে যুবদল নেতা নাজমুল হক বাবুর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ঘটনা ঘটিয়েছে।