অনলাইনকলারোয়াসাতক্ষীরা জেলা

কলারোয়ার কাদপুর গ্রামের প্রান্তিক খামারির কপাল খুললো গাভীর জোড়া বাছুরে

এসএম ফারুক হোসেন, কলারোয়া: কলারোয়ার কাদপুর গ্রামে একটি গাভীর একসাথে দুইটা জমজ এঁড়ে বাছুর হয়েছে। এই সাথে প্রান্তিক খামারির কপাল যেন খুলে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ অক্টোম্বর (শনিবার) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার ৭ নং চন্দনপুর ইউনিয়নের কাঁদপুর গ্রামের মৃত তমছের আলীর পুত্র মো: অলিয়ার রহমান নামের এক প্রান্তিক খামারির বাড়িতে।

একসাথে জমজ শিশু জন্ম নেওয়াটা অস্বাভাবিক নয় মোটেও, তবে সেটা মানুষের ক্ষেত্রে। তবে এবার গরুর বাছুর একসাথে জমজ বাছুর হয়েছে। এমন ঘটনা একটি প্রান্তিক খামারির জন্য সুখবর বলতেই হয়। বর্তমান সময়ে একটি উন্নত মানের এঁড়ে বাছুর হলে একবছরের মধ্যে খামারি একটি ভালো টাকা পায়। সেখানে দুটি বাছুর একসাথে হওয়ায় খামারি অলিয়ার রহমানের যেন খুশির শেষ নেই।

প্রান্তিক খামারি অলিয়ার জানান, আমি মহাখুশি যে আমার গাভীর দুইটা বাছুর হয়েছে। দুইটা বাছুর সুস্থ সবল আছে গাভীর দুধ ও বাছুর ভালো পাচ্ছে।

পল্লিপ্রাণী চিকিৎসক মো: জনি বলেন, এটি আমার ব্রাকের হিমায়িত সিমেন দেওয়া হয়েছিলো। যখন দুইটা বাছুর হলো তখন আমিও বেশ অবাক হয়েছি। ইতিপূর্বে এমন অভিজ্ঞতা আমার আছে।

কলারোয়া উপজেলার প্রানীসম্পদ অফিসার ভেটেরেনারি সার্জন ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন এটা প্রাণী সম্পদের এক বিরাট সাফল্য। বৈজ্ঞানিক ভাবে বলতে গেলে গাভীর হিট অবস্থা ভালো থাকলে ও সুস্থ সবল সিমেন হলে, খামারির নিবিড়ি পরিচর্যার কারণেও একটি গাভীর কখনো কখনো দুইটা বাছুর হতে পারে। এমন ঘটনা উপজেলার খামারীদের জন্য অবশ্যই আনন্দের।

একটি গাভীর থেকে দুইটি বাছুর হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষ ভিড় করছে খামারি অলিয়ার রহমানের বাড়িতে। সকলে অবাক বিস্ময়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *