কলারোয়াধর্মসাতক্ষীরা জেলা

ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে কলারোয়ায় ৩৯টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু

এস এম ফারুক হোসেন, কলারোয়া: সারাদেশের ন্যায় কলারোয়ায় সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে বুধবার শুরু হয়েছে।

বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে ৫ দিনের এই মহা উৎসব( পূজা) শেষ হবে আগামী ১৩ অক্টোবর রবিবার। আর এই উৎসবকে ঘিরে কলারোয়া পৌর সভা সহ উপজেলার ৩৯ টি পূজামন্ডপে পড়েছে ঢাকের কাঠি। বেজে উঠেছে শঙ্খ।

ঘন্টা আর কাঁসরের ঝনঝন শব্দ। উলুধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে চারপাশ। উৎসবের সাজে মন্ডপে মন্ডপে নেমেছে ভক্তদের আগমন। উৎসবের সাঁজে সেজে উঠেছে সকল পূজা মন্ডপ।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৬ টায় পৌর সভার হরিতলা মন্দির সহ বিভিন্ন মন্ডপে মন্ডপে বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া শুরু হয়েছে চন্ডীপাঠ। মন্ডপে মন্ডপে চলছে ঢাকের বাদ্য ও শঙ্খধ্বনি।

সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী,এ বছর দেবী দূর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। আর দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘটকে বা ঘোড়ায়। বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী শেষে মহাঅষ্টমী পূজা শুরু হচ্ছে। শুক্রবার সকালে মহাঅষ্টমী শেষ হবে। শনিবার হবে মহানবমীর পূজা। পঞ্জিকা মতে, এবার মহানবমী পূজার পরই দশমী বিহিত পূজা হবে বলে জানা যায়। এবার কলারোয়া উপজেলায় ৩৯ টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।

এরমধ্যে কলারোয়া পৌরসভা এলাকার ৮টি মণ্ডপ হলো: তুলসীডাঙ্গা ঘোষপাড়া, তুলসীডাঙ্গা গোয়ালঘাটা, মুরারীকাটি উত্তর পালপাড়া, মুরারীকাটি দক্ষিণ পাড়া, মুরারীকাটি দক্ষিণ হরিসভা, গোপীনাথপুর ঘোষপাড়া. গোপীনাথপুর দক্ষিণ পাড়া ও ঝিকরা হরিতলা পূজামণ্ডপে।

দেয়াড়া ইউনিয়নের ৫ টি মণ্ডপ হলো: দেয়াড়া ঘোষপাড়া রাধাগোবিন্দ মন্দির. দেয়াড়া ঘোষপাড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, পাকুড়িয়া, পাটুলিয়া কেন্দ্রীয় সার্বজনীন পূজামণ্ডপ ও পাটুলিয়া সনাতন সার্বজনীন পূজামণ্ডপ।

জয়নগর ইউনিয়নের ৫ টি মণ্ডপ হলো: খোর্দ্দ-বাটরা, জয়নগর মাতৃমন্দির, ধানদিয়া দাসপাড়া, জয়নগর মাঝের পাড়া, দক্ষিণ জয়নগর তরুণ সংঘ পূজামণ্ডপ। জালালাবাদ ইউনিয়নের ২টি মণ্ডপ হলো: কাশিয়াডাঙ্গা ও বৈদ্যপুর দাসপাড়া।

কয়লা ইউনিয়নের ২টি মণ্ডপ হলো: কয়লা ঘোষপাড়া ও শ্রীপতিপুর দাস পাড়া। লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের ২ টি মণ্ডপ হলো: লাঙ্গলঝাড়া ও খাসপুর।

কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ২ টি মণ্ডপ হলো আইচপাড়া পালপাড়া ও বাকসা দুর্গা মন্দির। সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের একমাত্র মণ্ডপ হলো: সোনাবাড়িয়া মঠমন্দির। যুগিখালি ইউনিয়নের ২ টি পূজামণ্ডপ হলো: বামনখালি বিনোদতলা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ ও ওফাপুর র্সাবজনীন মায়ের মন্দির।

চন্দনপুর ইউনিয়নের ২ টি মণ্ডপ হলো: চন্দনপুর ও নাথপুর। কেরালকাতা ইউনিয়নের ২ টি মণ্ডপ হলো: কেরালকাতা ঠাকুরবাড়ি ও সাতপোতা।

হেলাতলা ইউনিয়নের ৩ টি মণ্ডপ হলো: দামোদরকাটি, হেলাতলা ও শুভংকরকাটি মাতৃমন্দির।

কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ টি মণ্ডপ হলো: শিবানন্দকাটি, কুশোডাঙ্গা কালিবাড়ি ও কুশোডাঙ্গা সেনগুপ্ত পাড়া।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দূর্গোৎসবের পূর্ণলগ্ন শুরু হয। সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উৎযাপনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা তালা- কলারোয়া সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সনাতন ধর্মালম্বীদের নিয়ে কয়েক দফা সভা করেছেন। তিনি নির্বিঘ্নে পূজা উৎযাপনে সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন। মন্ডপগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

এদিকে, জামায়াতে ইসলামী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সবখানে সম্প্রীতির বাণী তুলে ধরছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) জহুরুল ইসলাম ও থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: শাহিন জানান, উপজেলার সকল পূজা মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *