অপরাধশ্যামনগর

শ্যামনগরের সাইফুল্লাহ ও মামলাবাজ আবুল কাশেম আতংকে ভবানীপুর- সৈয়াদীপুরের ভূমি মালিকরা

সুলতান শাহাজান, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার ভবানীপুর ও সৈয়দালীপুর এলাকায় সাবেক নুরনগর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সাইফুল্লাহ ও তার সহযোগী আবুল কাশেম ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রভাব খাটিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের প্রায় ৯০ বিঘা আয়তনের চিংড়ি তারা জবর দখলের পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ। বিগত দিনে জমি মালিকদের নানাভাবে হয়রানীর পর এখন তারা জাল কাগজপত্র প্রস্তুত করে উক্ত জমি দখলে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে বার বার মহড়া দিয়ে এলাকায় আতংকজনক পরিবেশের সৃস্টি করেছে।

রামজীবনপুর গ্রামের সুকো সরদারের ছেলে সাইফুল্লাহ আল মামুন নামের ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক ঐ সভাপতি উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাভাইয়ের ভাগ্নে। বিগত ১৫ বছরে মামার আশ্রয়ে আ’লীগের মেয়াদকালে তিনি সন্ত্রাসী তৎপরতার পাশাপাশি, মাফু নামের এক যুবককে অপহরন, চাঁদা ও দলবাঁজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে ছিলেন। এছাড়া এলাকার ইট ভাটা মালিকদের থেকে ইট লুটসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে অন্যের জমি ও চিংড়িঘের দখলে অগ্রনী ভুমিকায় থাকতেন। এসময় তার অপরাধের পতিবাদ করায় উপজেলা বিএনপির সাগঠনিক সম্পাদক গোলাম আলমগীরের উপর বর্বরোচিত হামলা করে দলীয় বিবেচনায় দিব্যি পার পেয়ে যায়।

আরও অভিযোগ রয়েছে একইভাবে তার যাবতীয় অপকর্মের হোতা সহযোগী আবুল কাশেম ওরফে মামলাবাঁজ কাশেম এলাকার মানুষকে প্ররোচিত করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে ফায়দা লোটার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার হয়রানীমুলক মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে একই এলাকার ইয়াসিনসহ আনারুল ও আব্দুল করিমের মত অসংখ্য মানুষ পথে বসতে বাধ্য হয়েছে।

এলাকাবাবাসীর অভিযোগ বিগত আ’লীগ সরকারের সময় শীর্ষ নেতাদের আশির্বাদ থাকার পাশঅপাশি নিজেরা যুবলীগের রাজনীতরি সাথে জড়িত থাকায় ধরাকে সরাজ্ঞান করে চলেছেন এ মানিকজোড়। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে ১২ টি মামলা অব্যদবধি চলমান। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও স্থানীয় বিএনপির একটি গ্রুপের ঘাড়ে ভর করে সাইফুল্লাহ-কাশেম মানিক জোড় আবার নিজেদের পুরানো অপকর্ম পুরোদমে চালিয়ে যেতে তৎপরতা শুরু করেছেন।

স্থানীয় জমির মালিক আলহাজ্ব আলমগীর হোসেন জানান, উচ্চ আদালতের রায় নিজেদের পক্ষে থাকার পর সাইফুল্লাহ-কাশেম গং ৯০ বিঘা ঐ জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্র করছে। এমনকি উপজেলা আ’লীগের সাগঠনিক সম্পাদক বাংলাভাইয়ের ভাগ্নে হওয়ার সুযোগে নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনীকে নিয়ে তারা উক্ত ঘের জবর দখলের সুযোগ খুঁজছে।

এমতাবস্থায় প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করা চিংড়িঘেরের দখল হাতছাড়া হওয়ার শংকার মধ্যে তারা দিনাতিপাত করছেন বলে দাবি করেন অপর মালিক আতাউর রহামন।

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে আবুল কাশেম এলাকার চিহ্নিত মামলাবাঁজ। এলাকার নিরীহ মানুষকে শরীকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলার জন প্ররোচিত করে নিজে সেই মামলা তদারকির দায়িত্ব নিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।

একইভাবে সে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত প্রায় ৮২ শতাংশ জাগয়া সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার নাথে প্রয় তিন লাখর বিনিময়ে তা প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেয়।

আরজু, শাহরিয়ার, মনিরুজ্জামান বাবু, মাসুদসহ স্থানীয়রা জানান, মামলাবাঁজ আবুল কাশেম ও সন্ত্রাসী সাইফুল্লাহ শান্তিপুর্ন সৈয়াদালীপুর এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরিকল্পনা করছেন। ইতিপুর্বে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোটা জনপদকে সন্ত্রন্থ এলাকায় পরিনত করার পর থেকে আবুল কাশেমের সহায়তায় সে এলাকার একচ্ছত্র অধিপতিতে পরিনত হয়েছে। আ’লীগের দুর্ধষ্য সন্ত্রাসাী সাইফুল্লাহ ও তার মুল হাতিয়ার আবুল কাশেমকে অতিসত্বর আইনের আওতায় নিয়ে এলাকা শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকার হাজার ভুক্তোভোগী সাধারণ মানুষ।

তবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল্লাহ দাবি করেন যুবলীগের রাজনীতি করলেও কারও ক্ষতি করেনি। ভুমিহীনরা তার সহায়তা চাওয়ায় খাসখতিয়ানভুক্ত জমিগুলো তাদের দখলে দেয়ার ক্ষেত্রে কাশেমের মাধ্যমে কমবেশী ভুমিকা রাখার চেষ্টা করছি। আবুল কাশেম অনেককে মিথ্যা মামলায় দিয়ে দালালি করে কোটি টাকারা মালিক হয়েছ বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।।

এবিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহামন বলেন কেউ শান্তিপূর্ণ চিংড়ি ঘের জবর দখলেল চেষ্টা করলে আইনের আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *