সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: শিবির কর্মীকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়
সুলতান শাহাজান, শ্যামনগর: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ছাত্রশিবির কর্মী আসাদুল্লাহকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের দাবি সংগঠনের প্রচারনামুলক কাজে যাওয়ায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আসাদুল্লাহকে ‘টার্গেট’ করে।
শ্যামনগর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আব্দুস সামাদ। এসময় তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে কয়েকজন দায়িত্বশীল গুমানতলী কামিল মাদ্রাসায় দাওয়াতি কাজে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে সিনিয়র নেতারা আটকে পড়া কর্মীদের উদ্ধার করতে গেলে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপির ছেলে ফাহিম রাব্বির নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রশিবির সভাপতি আরও বলেন, নিরীহ ছাত্রদের উপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিগত দিনে তাদের নির্যাতনের শিকার স্থানীয়রা রাব্বির পিতা আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপির বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে রাব্বি ও তার লোকজন নিজেদের মটর সাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ীর গ্লাসসহ ঘরের মধ্যে ভাংচুরের নাটক মঞ্চস্থ করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয় আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকার পরও উদ্দেশ্যমুলকভাবে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় তাদের দোষারোপ করা হচ্ছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ইমামুল ইসলাম, নাহিদ হাসান, আমিনুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল সিয়াম, মাসুম বিল্লাহ, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে নেতৃবৃন্দের উপর বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে শ্যামনগর থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আহত শিবির কর্মীর পিতা ইদ্রীস আলী বাদি হয়ে আওয়ামী লীগ সাবেক এমপি অতাউল হক দোলনের দুই ছেলে ফাহিম রাব্বি ও আতাহার শিহাব রাহুলকে আসামী করে উক্ত মামলা করেন। তবে বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান।