শ্যামনগরে ভূয়া ভুমিহীনদের জবরদখলের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ভূয়া ভুমিহীনদের জবরদখলের হুমকির প্রতিবাদে আতংকিত ভুমি মালিকরা সংবাদ সম্মেলন করে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলন করে ভীতসন্ত্রস্থ এসব জমির মালিক ভুমিদস্যুদের কবল থেকে রেহাই পেতে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় জমি মালিকদের পক্ষে গোলাম রব্বানী, আলমগীর হোসেন ও মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জামি মালিকরা জানান, দীর্ঘ তিন দশকের বেশী সময় ধরে শামনগর উপজেলার সৈয়াদালীপুর মৌজার ৩০ একর জমি তারা ভোগদখল করছেন। পৈত্রিক ও কোবলা সুত্রে প্রাপ্ত এসব জমিতে তারা চিড়ি খামার পরিচালনা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে একই এলাকার কুখ্যাত মামলাবাঁজ আবুল কাশেম ও প্রভাবশালী নুর ইসলামপাড়সহ যুবলীগ নেতা সাইফুল্লাহ উক্ত জমি জবর দখলের পায়তারা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২০০৪ সালে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে তৎকালীন তহশীলদার অপ্রদর্শিত সম্পত্তির দাবি তুলে উক্ত জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত উল্লেখ করে এক বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেন। পরবর্তীতে কাগজপত্র সরবরাহের মাধ্যমে এডিসি (রাজস্ব) বরাবর আপিলের পর তারা উক্ত জমি ফেরত পান। পরবর্তীতে বন্দোবস্ত প্রাপ্তরা একাধিকবার ধারাবাহিকভাবে উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হয়েও সুবিধা করতে পারেনি। এমতাবস্থায় উচ্চ আদালতে বিচারাধীন উক্ত মামলা শেষ পর্যায়ে হলেও ভুমিদস্যু হিসেবে চিহ্নিত এসব ভুয়া ভুমিহীন উক্ত জমি জবর দখলে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় আলী হোসেনসহ সকলেই জায়গা-জমির মালিক। অথচ মামলাবাঁজ আবুল কাশেমের পরামর্শে তারা নিজেরা ভুমিহীন পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় লিপ্ত। এলাকার চিহ্নিত মামলাবাঁজ আবুল কাশেম, নুরইসলাম পাড় ও যুবলীগ নেতা সাইফুল্লাহ গোটা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাদের ভোগদখলীয় চিংড়ি প্রকল্প জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
এসব ভূয়া ভুমিহীন তথা ভুমিদস্যুদের কবল থেকে নিজেদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি রক্ষাসহ দস্যু তৎপরতায় জড়িতদের আইনের আওতায় নেয়ার জন্য তারা সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের আন্তরিক হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেন।