অপরাধকালিগঞ্জরাজনীতিসাতক্ষীরা জেলা

কালিগঞ্জে পৃথক ঘটনায় কাদের পাড় ও আবু তালেবকে পিটিয়ে জখম

স্টাফ রিপোর্টার: জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় আব্দুল কাদের পাড় ও আবু তালেব সরদারকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার বৈরাগীর চক ও দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার মুকুন্দমধুসুধনপুর গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

তাদেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার বৈরাগীর চক গ্রামের মৃত নজির আলী পাড়ের ছেলে আব্দুল কাদের পাড় ও একই উপজেলার মুকুন্দ মধুসুধনপুর গ্রামের মৃত আকরাম আলী সরদারের ছেলে আবু তালেব সরদার।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল কাদের পাড় জানান, গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার খবর পেয়ে তিনি অন্যত্র আত্মগোপন করেন। শুক্রবার তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শনিবার সকালৈ সাড়ে ৯টার দিকে কাজলা গ্রামের আব্দুল্লাহ ওরফে হারানের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও ইন্দ্রনগর গ্রামের নবাব আলীর ছেলে কবীর হত্যা মামলার আসামী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছের লেঅক বলে পরিচিতর শহীদুল ইসলামসহ ১৫/২০ জন তার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

একপর্যায়ে তিনি ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলে রফিকুল ও শহীদুল তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ও ডান পা ভেঙে দেয়। ডান হাতের বুড়ো আঙুল ও বাম হাতের বুড়ে আঙুল ছাড়াও দুই কন্ইু এর হাড় ফেটে যায়। প্রথমে তাকে নলতা হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাতক্ষীরার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা আবু তালেব সরদার জানান, তিনি এক সময় কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর তার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালানো হয়। একপর্যায়ে তিনি আত্মগোপানে চলে যান। তখন তার ভাই আমীর হামজাকে পানি তোলার মেশিন বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দিয়ে কৌশলে চাঁদা দাবি করা হয়।

গত বৃহষ্পতিবার তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। শনিবার সকাল ১০ টা ২২ মিনিটে মুকুন্দ মধুসুধনপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে বিএনপি কর্মী জাফর ইকবাল বাবু তাকে হুমকি দিয়ে যায়। পৌনে ১২টার দিকে তিনি বাদির বারান্দায় বসে থাকাকালিন জাফর ইকবাল বাবু, শ্রীরামপুর গ্রামের কয়েদ শেখের ছেলে মুহিদ ও আক্কাজ গাজীর ছেলে মুহিদ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এসে তাকে পেরেকযুক্ত লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। চিকিৎসার জন্য বাড়ির বাইরে এলে বা থানায় গেলে পরিস্থিতি ভাল হবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় হামলাকারিরা। পরে তিনি কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। পরে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন সাতক্ষীরার একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে।

এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানায় মোবাইলে যোগযোগের চেষ্টা করেও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *