আশাশুনিতে মাছ চুরির অভিযোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবককে পিটিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার: আশাশুনির পল্লীতে মাছ চুরির অভিযোগ এনে এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত্রে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের দুর্গাপুর বিলে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী(৩০)। সে দুর্গাপুর গ্রামের অবনী চক্রবর্তীর ছোট ছেলে। আহত বিশ্বজিৎ বর্তমান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিশ্বজিতের বড় ভাই ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী অভিযোগ করে জানান, ৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর খাজরার ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর একের পর এক নির্যাতন বেড়ে যায়। এরই অংশ হিসেবে আমার এক বৌমার সাথে খারাপ আচরণ করে স্থানীয় বিএনপির কর্মী। বিষয়টি ইউনিয়ন নেতাদের জানানোর পর মীমাংসা করা হয়।
এরপরেও মনে মনে রাগ থাকে তাদের। এর অংশ হিসেবে আমার ভাই বিশ্বজিৎ মাছ ধরতে দুর্গাপুর বিলে গেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খালিয়া গ্রামের মৃত তছির উদ্দিন সানার ছেলে সুযোগ সন্ধানী মোঃ অদুদ সানার নেতৃত্বে তার ছেলে ও জামাই মিলে বেদম প্রহার করেন।
তিনি আরো জানান, তার কাছে কোন মাছ না পাওয়া গেলেও অন্যায় ভাবে পিটিয়ে মাথার হাড়সহ বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। বর্তমান আমার ভাই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসার দিন রয়েছে।
খাজরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু জানান, বিশ্বজিৎকে মারপিট করা হয়েছে এমন খবর আমি শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়নি। আমি সকল অন্যাযকারীদের গ্রেফতারের জন্য আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নজরুল ইসলাম জানান বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে অভিযুক্ত ওদুদ সানা জানান, তার মাছের ঘেরে বিভিন্ন সময়ে মাছ চুরি করার অভিযোগে বিশ্বকে আটক করা হয়। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।