অপরাধআইন আদালততালা

ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ স্টাটাস, তালা থানায় জিডি!

বিশেষ প্রতিনিধি, তালা: সাতক্ষীরার তালায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ও উষ্কানিমূলক পোষ্ট দিয়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে সেনা সদস্য গৌতম কুমার দাশের বিরুদ্ধে।

উত্তম কুমার দাশ উপজেলা ঘোষনগর গ্রামের সাধন দাশের ছেলে। এঘটনায় রবিরার (২২ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযোদ্ধা পুত্র অজয় কুমার ঘোষ তালা থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন। যার নং-৭১৬।

জিডির সূত্রে জানা যায়, সেনা সদস্য গৌতম কুমার দাশ তার (Goutom Das) ভেরিভাইড ফেজবুক পেইজে ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর ৬ আগষ্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও তাদের স্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী চাকুরীজিবীও জনপ্রতিনিধিদের ইঙ্গিত করে কুরুচিপূর্ণ পোষ্ট দিয়ে চলেছেন। জনমনে একটি বিষয় ঘুরপাক খাচ্ছে, একজন সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হয়ে এরকম পোষ্ট দেয়া যায় কি না?

তিনি তার ভেরিফাইজ পেইজে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, একজন ডাকাত কি করে মুক্তিযোদ্ধা হয়?

জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও শিক্ষকদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি লিখেছেন, তালাবাসি ১৬ বছর ধরে যারা হয়রানি হয়েছে বিভিন্ন ভাবে সেই শাসক নেতাদের সাথে আপোষ কেন, বিনিময় কেন?, আমাদের সকলের প্রিয় খলিলনগরের বৌদি এবং তালা উপজেলা দাদার ভাই বউ ভিন্ন ধর্মের হলেও বোরকার মতন পর্দা করে কলেজে গেলে কেমন হবে? অনেক দাদা এবং নেতা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ভিতর গোপন ভাবে অবস্থান করছে। তাদেরও মন চায় দেশের মাছ খেতে। তাদের দিক বিবেচনা করে বিষয়টা, তালার দাদা বৌদিদের ভালো কৃতকর্মের কথা উপস্থাপন করায় তাদের পা চাটা প্রাণীগুলো বিভিন্ন ভাবে আমার নিকট পরিজনদের ভয় দেখায়! ২৬ তারিখ। এমন আরও অনেক পোষ্ট তিনি দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসি জানান, গৌতম দাশের বড়ভাই উত্তম কুমার দাশ ও তার ভগ্নিপতি মাদক দ্রব্য সহ আটক হয়ে দির্ঘদিন কারাগারে ছিল এবং সে মামলাটি এখনো চলমান আছে।

তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকে পোষ্ট দেয়া নিয়ে গৌতম দাশের নামে একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *